# কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ করুন ।
অনেক সময় কম্পিউটার বন্ধ
হতে অনেক সময় নেয় । এতে কোনো কারণে দ্রুত চাইলেও কম্পিউটার বন্ধ করে চলে যাওয়া যায়
না । এর কারন উইন্ডোজ কম্পিউটার বন্ধ করার সময় এর ভিতরের পেইজ ফাইল (টেম্পোরারি
ফাইল) পরিষ্কার করে নেয় । এর কারণে কম্পিউটার বন্ধ হতে দেরী হয় । তবে আপনি ইচ্ছা
করলে নিচের নিয়ম অনুসরন করে এর হাত থেকে নিস্তার পেতে পারেন ।
এজন্য প্রথমে Start > Run > regedit লিখে এন্টার করুন । এবার বাম পাশের মেনু থেকে HKEY_LOCAL_MACHINE > SYSTEM > CurrentControlSet > Control > Session Manager > Memory Management এ ক্লিক করে ডান পাশের মেনু থেকে ClearPageFileAtShutdown এ ডাবল ক্লিক করে Value data “0” দিয়ে OK করে বের হয়ে আসুন ও কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন ।
এজন্য প্রথমে Start > Run > regedit লিখে এন্টার করুন । এবার বাম পাশের মেনু থেকে HKEY_LOCAL_MACHINE > SYSTEM > CurrentControlSet > Control > Session Manager > Memory Management এ ক্লিক করে ডান পাশের মেনু থেকে ClearPageFileAtShutdown এ ডাবল ক্লিক করে Value data “0” দিয়ে OK করে বের হয়ে আসুন ও কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন ।
# মুছে ফেলুন অপ্রয়োজনীয় ইভেন্ট
ফাইল
উইন্ডোজ ব্যবহার করার সময়
অনেক Event ফাইল
কম্পিউটারে জমা হয় যা কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয় । এসকল ফাইল মুছে ফেলতে মাই
কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে Manage এ যান । এবার নতুন উইন্ডো আসলে এর বাম পাশের
মেনু থেকে System
Tools > Event viewer এ Application এ ক্লিক করে
উপরের টুলবার থেকে Action এ ক্লিক করে Clear All
Events সিলেক্ট
করলে ব্যাকআপ করতে বলবে । তখন No সিলেক্ট করলে মুছে যাবে । এভাবে Application এর মত System ও পরিষ্কার করুন ।
# ভুলে বন্ধ করে দেওয়া
ব্রাউজার ট্যাব ফরিয়ে আনুন
অনেক সময় আমরা ভুলে ব্রাউজারে ওপেন করা ট্যাব বন্ধ করে দেই । কিন্তু দেখা
যায় বন্ধ করা সাইটটির পেইজ ওপেন করা দরকার কিন্তু লিঙ্ক মনে নেই বা জানা নেই । এরকম
হলেও আপনি ট্যাবটি ফিরিয়ে আনতে পারবেন । এজন্য
Ctrl + Shift + T প্রেস করুন ।
এতে সবার শেষে বন্ধ করা ট্যাব ওপেন হবে । এভাবে যতবার চাপবেন ততবার আগের বন্ধ করা
ট্যাব ওপেন হতে থাকবে ।
# ব্রাউজার এর পর্দা বড়
করুন
অনেক সময় ব্রাউজারের পর্দা
বড় (ফুল স্ক্রীন) করে দেখার প্রয়োজন হয় । এজন্য F11 প্রেস করলে স্ক্রীন বড় হবে । আবার প্রেস করলে আগের মত
হয়ে যাবে ।
অথবা যদি পেইজের ফন্ট বড় বা ছোট করতে হয় , তখন Ctrl প্রেস করে ধরে রেখে মাউসের স্ক্রল উপরে নিলে বড় হবে এবং নিচে আনলে ছোট হতে থাকবে ।
অথবা যদি পেইজের ফন্ট বড় বা ছোট করতে হয় , তখন Ctrl প্রেস করে ধরে রেখে মাউসের স্ক্রল উপরে নিলে বড় হবে এবং নিচে আনলে ছোট হতে থাকবে ।
# সিস্টেম হিডেন করা ফাইল
দেখুন
অনেক সময় কম্পিউটারের সিস্টেম
হিডেন করা ফাইল বা ফোল্ডার দেখতে হয় । এজন্য My
computer খুলে উপরের বার থেকে Tools > Folder options এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডোতে View এ ক্লিক করলে
নিচে একটি লিস্ট আসবে । এখানে Show Hidden Files and Folders এ টিক চিহ্ন দিন এবং Hide
Protected Operating System Files এর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Yes সিলেক্ট করে OK ও Apply করুন ।
# মাউসের কার্সর আটোমেটিক ভাবে ডায়ালগ বক্সে নিয়ে যান
কম্পিউটারে কাজ করার সময় বারবার ডায়ালগ বক্স আসে । তখন কার্সর ডায়ালগ বক্সে
নিয়ে গিয়ে Yes
বা No তে ক্লিক করতে হয় । তবে আপনি ইচ্ছা করলে
অটোমেটিক ভাবে কার্সর নিয়ে যেতে পারেন । এজন্য নিচের নিয়ম অনুসরন করুন ।
প্রথমে Start > Cntrol panel এ গিয়ে Mouse এ ডাবল ক্লিক করে মাউস প্রোপারটিজ ওপেন করুন । এবার উপরের টুলবার থেকে Pointer Options সিলেক্ট করে Snap to এর Automatically move pointer to the default button in a dialog box বক্স এ টিক দিন ।
প্রথমে Start > Cntrol panel এ গিয়ে Mouse এ ডাবল ক্লিক করে মাউস প্রোপারটিজ ওপেন করুন । এবার উপরের টুলবার থেকে Pointer Options সিলেক্ট করে Snap to এর Automatically move pointer to the default button in a dialog box বক্স এ টিক দিন ।
# ফাইল খোজাঁর অপশন চালু করুন
অনেক সময় ভাইরাস বা উইন্ডোজ এর ফাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফাইল খোঁজার অপশন বন্ধ
হয়ে যায় । তখন নিচের নিয়ম অনুসরন করে ফাইল
খোজাঁর অপশন ফিরিয়ে আনতে পারবেন ।
Start > Run এ গিয়ে
REG add HKCU\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Policies\Explorer/vNoFind/tREG_DWORD/d0/f
লিখে এন্টার চাপুন । এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন । তবে উপরের লিখাটি লিখার সময় সতর্ক থাকুন যেন ভুল না হয় । সবচেয়ে ভালো হয় লিখাটি কপি করে রান এ পেস্ট করলে ।
Start > Run এ গিয়ে
REG add HKCU\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Policies\Explorer/vNoFind/tREG_DWORD/d0/f
লিখে এন্টার চাপুন । এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন । তবে উপরের লিখাটি লিখার সময় সতর্ক থাকুন যেন ভুল না হয় । সবচেয়ে ভালো হয় লিখাটি কপি করে রান এ পেস্ট করলে ।
# পেনড্রাইভ ফরম্যাট হচ্ছে না?
ভাইরাস আক্রমন করলে বা পেনড্রাইভ এ সমস্যা থাকলে অনেক সময় পেনড্রাইভ
ফরম্যাট হতে চায় না । কিন্তু দেখা যায় ফরম্যাট করা খুবই প্রয়োজন । এরকম সমস্যায়
পড়লে নিচের নিয়ম অনুসরণ করে ফরম্যাট করতে পারবেন ।
প্রথমে My Computer এ রাইট ক্লিক করে Manage সিলেক্ট করুন । এবার বাম পাশের Disk Management এ ক্লিক করলে ডান পাশে আপনার হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভ এর লিস্ট দেখাবে । সেখানে আপনার পেনড্রাইভ এর লিস্টের উপর ডান ক্লিক করে ফরম্যাট এ ক্লিক করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হয়ে যাবে ।
প্রথমে My Computer এ রাইট ক্লিক করে Manage সিলেক্ট করুন । এবার বাম পাশের Disk Management এ ক্লিক করলে ডান পাশে আপনার হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভ এর লিস্ট দেখাবে । সেখানে আপনার পেনড্রাইভ এর লিস্টের উপর ডান ক্লিক করে ফরম্যাট এ ক্লিক করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হয়ে যাবে ।
# উইন্ডোজ ভিসতা ও উইন্ডোজ ৭ এর স্টার্ট মেনুতে রান যোগ করুন
উইন্ডোজ ভিসতা ও উইন্ডোজ ৭ এর স্টার্ট মেনুতে রান অপশনটি নেই কিন্তু অনেক
কাজেই রান মেনু ব্যবহার করতে হয় । তাই স্টার্ট মেনুতে রান যোগ করতে চাইলে নিচের
নিয়ম অনুসরণ করুন ।
প্রথমে রান ওপেন করুন । রান ওপেন করতে উইন্ডোজ লোগো কী প্রেস করে ধরে রেখে R প্রেস করতে হবে । এবার রান এ gpedit.msc লিখে এন্টার করুন । এখন User Configuration > Administrator Templates > Start Menu and Taskbar এ গিয়ে ডান পাশের মেনুগুলো থেকে Add the Run command to the Start Menu অপশন এ ডান ক্লিক করে Properties এ যান ও Enable করে Ok করে বের হয়ে আসুন ।
প্রথমে রান ওপেন করুন । রান ওপেন করতে উইন্ডোজ লোগো কী প্রেস করে ধরে রেখে R প্রেস করতে হবে । এবার রান এ gpedit.msc লিখে এন্টার করুন । এখন User Configuration > Administrator Templates > Start Menu and Taskbar এ গিয়ে ডান পাশের মেনুগুলো থেকে Add the Run command to the Start Menu অপশন এ ডান ক্লিক করে Properties এ যান ও Enable করে Ok করে বের হয়ে আসুন ।
# ভাইরাস থেকে সচেতন থাকুন
কম্পিউটারের দুনিয়ায় ভাইরাস সবচেয়ে ক্ষতিকর যা সবার চিন্তার কারণ। এর কারণে অনেক মানুষের
ক্ষতি হচ্ছে। অনেক প্রয়োজনীয় ফাইল হারাচ্ছে। নিচের নিয়ম গুলো পালন করে ভাইরাসের
থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
· কম্পিউটারে সবসময় আপডেটেড অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন। আপডেট করা না হলে সেই অ্যান্টি-ভাইরাস কোনো কাজের না। অ্যান্টি-ভাইরাস আপডেট করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। কিন্তু যদি আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে সাইবার ক্যাফে বা অন্য কোনো ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার থেকে আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করে রাখা অ্যান্টি-ভাইরাস এর জন্য আপডেট ফাইল নামিয়ে নিন ও আপনার কম্পিউটারে নিয়ে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করুন।
· আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন।
· পেনড্রাইভ , সিডি/ডিভিডি বা যেকোনো রিমুভাল ডিস্ক কম্পিউটারে ব্যবহার করার আগে অ্যান্টি-ভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করিয়ে নিন।
· ইমেইল এ আসা ফাইল যদিও অটোমেটিকভাবে স্ক্যান হয়ে আসে এবং খ্যাতমান ইমেইল সেবাদাতা কোম্পানীগুলো স্ক্যান না করে কোনো ফাইল আপলোড করে না তবুও ফাইলগুলো নামিয়ে নেওয়ার পর একবার স্ক্যান করে নিন।
· একই কম্পিউটারে বা একই অপারেটিং সিস্টেমে কখনোই একটির বেশি অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করবেন না। অ্যান্টি-ভাইরাস কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়। তার উপর যদি দুটি বা তারও বেশি অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করা হয় তবে তা কম্পিউটার এর জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে।
· দুটি অ্যান্টিভাইরাসের প্রয়োজন হলে একটি অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করে স্ক্যান দিন। তারপর অ্যান্টি-ভাইরাসটি রিমুভ করে অন্য অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করুন।
· আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও কম্পিউটার এর ফাইল স্ক্যান করতে পারবেন। বেশ কিছু অ্যান্টি-ভাইরাস কোম্পানী অনলাইনেও স্ক্যান করে দেয়। তবে এর জন্য আপনার অসীম বা আন-লিমিটেড ইন্টারনেট থাকতে হবে। অনলাইলে চেক করার জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস কোম্পানী আপনার হার্ডডিস্ক এর ফাইল তাদের সারভার এ নিয়ে যাবে এবং স্ক্যান করে আপনাকে ফলাফল জানাবে।
· যদি কোনো এক বা একাধিক ফাইল ভাইরাস এর আক্রমনের শিকার হয় তবে অ্যান্টি-ভাইরাস ধারা প্রথমে রিপেয়ার করার চেষ্টা করুন। যদি রিপেয়ার করা না যায় তবে ডিলিট করে দিন। তবে যদি ফাইল বা ফাইলগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনি ফাইলগুলোকে অ্যান্টি-ভাইরাস এর বিশেষ ব্যবস্থায় রেখে দিতে পারেন। এ সিস্টেম কে কোয়ারেনটাইন বলে। এ সিস্টেম এ অ্যান্টি-ভাইরাস ফাইল বা ফাইলগুলোকে ডিলিট না করে তার বিশেষ ব্যবস্থায় রেখে দিবে এবং সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারবেনা।
· লাইসেন্স করা অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন। অ্যান্টি-ভাইরাসের ট্রায়াল ভার্সনে আপনাকে সকল ফিচার ব্যবহারের অনুমতি দিবে না। দেখা যায় ট্রায়াল ভার্সনে ভাইরাস পাচ্ছে কিন্তু ডিলিট করছে না , ভাইরাস ঠিক ভাবে খুঁজছে না , আপডেট করা যাচ্ছে না ইত্যাদি সমস্যা হয়। তবে Avira antivir এর ট্রায়াল সঠিকভাবে কাজ করে। তবে এটি বর্তমানে ১ মাস ট্রায়াল ব্যবহার করা যায়।
· যদি আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস এর সংক্রমণ হয় তবে স্ক্যান দেওয়ার জন্য নিচের নিয়ম অনুসরণ করে দিন। এতে দ্রুত ও সঠিক ভাবে ভাইরাস দূর করার পাশাপাশি আপনার ঝামেলাও কমে যাবে।
· প্রথমে অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করে আপডেট করুন।
· আপডেট করা হয়ে গেলে সম্পুর্ণ কম্পিউটার স্ক্যান করুন ও ভাইরাস রিমুভ করুন।
· রিমুভ করা হয়ে গেলে কম্পিউটারে C: ড্রাইভ ফরম্যাট করে অপারেটিং সিস্টেম আবার ইন্সটল ও আপডেট করুন।
· ইন্সটল হয়ে গেলে আবার অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করুন ও কম্পিউটার স্ক্যান করুন।
এর কারণ , দেখা যায় কম্পিউটারের C ড্রাইভে ভাইরাস এর সক্রমণ হলে এবং স্ক্যান করার পর ভাইরাস রিমুভ করার সময় অনেক ফাইল নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয়। কিন্তু কেউ কেউ অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে তারপর স্ক্যান করে। ফলে এর ভিতরও ভাইরাস ছড়িয়ে পরতে পারে এবং অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে আপনাকে ভাইরাস পরিষ্কার করার জন্য দুইবার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা লাগতে পারে।
· ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কারণ ভাইরাস আপনার কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত ফাইলের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারে থাকা অতি গুরুতপুরণ ও টপ সিক্রেট ফাইল চুরি করতে পারে যা আপনার ব্যক্তিত্ব বা আর্থিক ভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
· কম্পিউটারে সবসময় আপডেটেড অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন। আপডেট করা না হলে সেই অ্যান্টি-ভাইরাস কোনো কাজের না। অ্যান্টি-ভাইরাস আপডেট করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। কিন্তু যদি আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে সাইবার ক্যাফে বা অন্য কোনো ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার থেকে আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করে রাখা অ্যান্টি-ভাইরাস এর জন্য আপডেট ফাইল নামিয়ে নিন ও আপনার কম্পিউটারে নিয়ে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করুন।
· আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন।
· পেনড্রাইভ , সিডি/ডিভিডি বা যেকোনো রিমুভাল ডিস্ক কম্পিউটারে ব্যবহার করার আগে অ্যান্টি-ভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করিয়ে নিন।
· ইমেইল এ আসা ফাইল যদিও অটোমেটিকভাবে স্ক্যান হয়ে আসে এবং খ্যাতমান ইমেইল সেবাদাতা কোম্পানীগুলো স্ক্যান না করে কোনো ফাইল আপলোড করে না তবুও ফাইলগুলো নামিয়ে নেওয়ার পর একবার স্ক্যান করে নিন।
· একই কম্পিউটারে বা একই অপারেটিং সিস্টেমে কখনোই একটির বেশি অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করবেন না। অ্যান্টি-ভাইরাস কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়। তার উপর যদি দুটি বা তারও বেশি অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করা হয় তবে তা কম্পিউটার এর জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে।
· দুটি অ্যান্টিভাইরাসের প্রয়োজন হলে একটি অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করে স্ক্যান দিন। তারপর অ্যান্টি-ভাইরাসটি রিমুভ করে অন্য অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করুন।
· আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও কম্পিউটার এর ফাইল স্ক্যান করতে পারবেন। বেশ কিছু অ্যান্টি-ভাইরাস কোম্পানী অনলাইনেও স্ক্যান করে দেয়। তবে এর জন্য আপনার অসীম বা আন-লিমিটেড ইন্টারনেট থাকতে হবে। অনলাইলে চেক করার জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস কোম্পানী আপনার হার্ডডিস্ক এর ফাইল তাদের সারভার এ নিয়ে যাবে এবং স্ক্যান করে আপনাকে ফলাফল জানাবে।
· যদি কোনো এক বা একাধিক ফাইল ভাইরাস এর আক্রমনের শিকার হয় তবে অ্যান্টি-ভাইরাস ধারা প্রথমে রিপেয়ার করার চেষ্টা করুন। যদি রিপেয়ার করা না যায় তবে ডিলিট করে দিন। তবে যদি ফাইল বা ফাইলগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনি ফাইলগুলোকে অ্যান্টি-ভাইরাস এর বিশেষ ব্যবস্থায় রেখে দিতে পারেন। এ সিস্টেম কে কোয়ারেনটাইন বলে। এ সিস্টেম এ অ্যান্টি-ভাইরাস ফাইল বা ফাইলগুলোকে ডিলিট না করে তার বিশেষ ব্যবস্থায় রেখে দিবে এবং সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারবেনা।
· লাইসেন্স করা অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন। অ্যান্টি-ভাইরাসের ট্রায়াল ভার্সনে আপনাকে সকল ফিচার ব্যবহারের অনুমতি দিবে না। দেখা যায় ট্রায়াল ভার্সনে ভাইরাস পাচ্ছে কিন্তু ডিলিট করছে না , ভাইরাস ঠিক ভাবে খুঁজছে না , আপডেট করা যাচ্ছে না ইত্যাদি সমস্যা হয়। তবে Avira antivir এর ট্রায়াল সঠিকভাবে কাজ করে। তবে এটি বর্তমানে ১ মাস ট্রায়াল ব্যবহার করা যায়।
· যদি আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস এর সংক্রমণ হয় তবে স্ক্যান দেওয়ার জন্য নিচের নিয়ম অনুসরণ করে দিন। এতে দ্রুত ও সঠিক ভাবে ভাইরাস দূর করার পাশাপাশি আপনার ঝামেলাও কমে যাবে।
· প্রথমে অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করে আপডেট করুন।
· আপডেট করা হয়ে গেলে সম্পুর্ণ কম্পিউটার স্ক্যান করুন ও ভাইরাস রিমুভ করুন।
· রিমুভ করা হয়ে গেলে কম্পিউটারে C: ড্রাইভ ফরম্যাট করে অপারেটিং সিস্টেম আবার ইন্সটল ও আপডেট করুন।
· ইন্সটল হয়ে গেলে আবার অ্যান্টি-ভাইরাস ইন্সটল করুন ও কম্পিউটার স্ক্যান করুন।
এর কারণ , দেখা যায় কম্পিউটারের C ড্রাইভে ভাইরাস এর সক্রমণ হলে এবং স্ক্যান করার পর ভাইরাস রিমুভ করার সময় অনেক ফাইল নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয়। কিন্তু কেউ কেউ অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে তারপর স্ক্যান করে। ফলে এর ভিতরও ভাইরাস ছড়িয়ে পরতে পারে এবং অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে আপনাকে ভাইরাস পরিষ্কার করার জন্য দুইবার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা লাগতে পারে।
· ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কারণ ভাইরাস আপনার কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত ফাইলের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারে থাকা অতি গুরুতপুরণ ও টপ সিক্রেট ফাইল চুরি করতে পারে যা আপনার ব্যক্তিত্ব বা আর্থিক ভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে।